• Latest post

    মুছল্লির সামনে সুতরা রেখে চলে যাওয়া,

    মুছল্লীর সামনে সুতরা রেখে চলে যাওয়া :

    এটা শহরের মসজিদগুলোতে বর্তমানে বেশী দেখা যাচ্ছে। শরী‘আতে এর কোন অনুমোদন নেই। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে এ ধরনের কৌশলের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং মুছল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে ৪০ বছর যাবৎ বসে থাকা উত্তম বলা হয়েছে।[1] বর্তমান পদ্ধতিতে যাওয়া বৈধ হলে রাসূল (ছাঃ) তা বলে যেতেন। সুতরাং মুছল্লীর সামনে সুতরা দিয়ে অতিক্রম করা আর এমনি চলে যাওয়া একই সমান। এই অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। উল্লেখ্য যে, যিনি ছালাত আদায় করবেন, তিনি নিজে সামনে সুতরা রেখে ছালাত শুরু করবে।[2] তার সামনে দিয়ে মুছল্লীগণ যেতে পারবেন। তবে সুতরা বিহীন ছালাত আদায়কারী মুছল্লীর সামনে অন্য মুছল্লী সুতরা রেখে অতিক্রম করতে পারবেন না।[1]. ছহীহ বুখারী হা/৫১০; মিশকাত হা/৭৭৬। [2]. মুসলিম, মিশকাত হা/৭৭৫।

    আবুল জুহাইম আব্দুল্লাহ ইবনে হারেস ইবনে স্বিম্মাহ আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যদি নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানত যে, তা তার জন্য কত ভয়াবহ [অপরাধ], তাহলে সে নামাযীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ [দিন/মাস/বছর] দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করত।’’ রাবী বলেন, আমি জানি না যে, তিনি চল্লিশ দিন, নাকি চল্লিশ মাস, নাকি চল্লিশ বছর বললেন। (বুখারী ও মুসলিম) [1] 

    [1] সহীহুল বুখারী ৫১০, মুসলিম ৫৯৭, তিরমিযী ৩৩৬, নাসায়ী ৭৫৬, আবূ দাউদ ৭০১, ইবনু মাজাহ ৯৪৫, আহমাদ ১৭০৮৯, মুওয়াত্তা মালিক ৩৬৫, দারেমী ১৪১৬, ১৪১৭ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


    সহীহ বুখারী (তাওহীদ ৫১০)

     বুসর ইবনু সা‘ঈদ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, যায়দ ইবনু খালিদ (রাযি.) তাঁকে আবূ জুহায়ম (রাযি.)-এর নিকট পাঠালেন, যেন তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে, মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীর সম্পর্কে তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কী শুনেছেন। তখন আবূ জুহায়ম (রাযি.) বললেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানতো এটা তার কত বড় অপরাধ, তাহলে সে মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন/মাস/বছর) দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করতো।

    আবুন-নাযর (রহ.) বলেনঃ আমার জানা নেই তিনি কি চল্লিশ দিন বা মাস কিংবা চল্লিশ বছর বলেছেন। (মুসলিম ৪/৪৮, হাঃ ৭৫০৭, আহমাদ ১৭৫৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৮০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৬)

    Narrated Busr bin Sa`id: that Zaid bin Khalid sent him to Abi Juhaim to ask him what he had heard from Allah's Messenger (ﷺ) about a person passing in front of another person who was praying. Abu Juhaim replied, "Allah's Messenger (ﷺ) said, 'If the person who passes in front of another person in prayer knew the magnitude of his sin he would prefer to wait for 40 (days, months or years) rather than to pass in front of him." Abu An-Nadr said, "I do not remember exactly whether he said 40 days, months or years."

    عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ أَرْسَلَهُ إِلَى أَبِي جُهَيْمٍ يَسْأَلُهُ مَاذَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللهِ فِي الْمَارِّ بَيْنَ يَدَيْ الْمُصَلِّي فَقَالَ أَبُو جُهَيْمٍ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ يَعْلَمُ الْمَارُّ بَيْنَ يَدَيْ الْمُصَلِّي مَاذَا عَلَيْهِ لَكَانَ أَنْ يَقِفَ أَرْبَعِينَ خَيْرًا لَهُ مِنْ أَنْ يَمُرَّ بَيْنَ يَدَيْهِ قَالَ أَبُو النَّضْرِ لاَ أَدْرِي أَقَالَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ شَهْرًا أَوْ سَنَةً.


    ইবনু ‘উমার (রাযি.) তাশাহ্হুদে বসা অবস্থায় এবং কা‘বা শরীফেও (অতিক্রমকারীকে) বাধা দিয়েছেন এবং তিনি বলেন, সে অতিক্রম করা হতে বিরত থাকতে অস্বীকার করে লড়তে চাইলে মুসল্লী তার সাথে লড়বে।

    (বুখারি ৫০৯) আবূ মা‘মার (রহ.) ও আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহ.)....আবূ সালেহ সাম্মান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.)-কে দেখেছি। তিনি জুমু‘আর দিন লোকদের জন্য সুতরা হিসেবে কোন কিছু সামনে রেখে সালাত আদায় করছিলেন। আবু মু‘আইত গোত্রের এক যুবক তাঁর সামনে দিয়ে যেতে চাইল। আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.) তার বুকে ধাক্কা মারলেন। যুবকটি লক্ষ্য করে দেখলো যে, তাঁর সামনে দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। এজন্যে সে পুনরায় তাঁর সামনে দিয়ে যেতে চাইল। এবারে আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.) প্রথমবারের চেয়ে জোরে ধাক্কা দিলেন। ফলে আবূ সা‘ঈদ (রাযি.)-কে তিরস্কার করে সে মারওয়ানের নিকট গিয়ে আবূ সা‘ঈদ (রাযি.)-এর ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল। এদিকে তার পরপরই আবূ সা‘ঈদ (রাযি.)-ও মারওয়ানের নিকট গেলেন। মারওয়ান তাঁকে বললেনঃ হে আবূ সা‘ঈদ! তোমার এই ভাতিজার কী ঘটেছে? তিনি জবাব দিলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যদি লোকদের জন্য সামনে সুতরাং রেখে সালাত আদায় করে, আর কেউ যদি তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে যেন সে তাকে বাধা দেয়। সে যদি না মানে, তবে সে ব্যক্তি (মুসল্লী) যেন তার সাথে লড়াই করে, কেননা সে শয়তান। (৩২৭৪; মুসলিম ৪/৪৮, হাঃ ৫০৫, আহমাদ ১১২৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৮৫)

    Narrated Abu Sa`id: The Prophet (ﷺ) said, (what is ascribed to him in the following Hadith): Narrated Abu Salih As-Samman: I saw Abu Sa`id Al-Khudri praying on a Friday, behind something which acted as a Sutra. A young man from Bani Abi Mu'ait [??] , wanted to pass in front of him, but Abu Sa`id repulsed him with a push on his chest. Finding no alternative he again tried to pass but Abu Sa`id pushed him with a greater force. The young man abused Abu Sa`id and went to Marwan and lodged a complaint against Abu Sa`id and Abu Sa`id followed the young man to Marwan who asked him, "O Abu Sa`id! What has happened between you and the son of your brother?" Abu Sa`id said to him, "I heard the Prophet (ﷺ) saying, 'If anybody amongst you is praying behind something as a Sutra and somebody tries to pass in front of him, then he should repulse him and if he refuses, he should use force against him for he is a Shaitan (a Satan).' "

    أَبُو مَعْمَرٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ح و حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ المُغِيرَةِ قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ الْعَدَوِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ قَالَ رَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ يُصَلِّي إِلَى شَيْءٍ يَسْتُرُهُ مِنْ النَّاسِ فَأَرَادَ شَابٌّ مِنْ بَنِي أَبِي مُعَيْطٍ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَدَفَعَ أَبُو سَعِيدٍ فِي صَدْرِهِ فَنَظَرَ الشَّابُّ فَلَمْ يَجِدْ مَسَاغًا إِلاَّ بَيْنَ يَدَيْهِ فَعَادَ لِيَجْتَازَ فَدَفَعَهُ أَبُو سَعِيدٍ أَشَدَّ مِنَ الْأُولَى فَنَالَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ ثُمَّ دَخَلَ عَلَى مَرْوَانَ فَشَكَا إِلَيْهِ مَا لَقِيَ مِنْ أَبِي سَعِيدٍ وَدَخَلَ أَبُو سَعِيدٍ خَلْفَهُ عَلَى مَرْوَانَ فَقَالَ مَا لَكَ وَلِابْنِ أَخِيكَ يَا أَبَا سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ يَقُولُ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى شَيْءٍ يَسْتُرُهُ مِنْ النَّاسِ فَأَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلْيَدْفَعْهُ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ.