• Latest post

    কবরের আযাব হতে ক্ষমা চাওয়া, কবরের আযাব থেকে রক্ষার জন্য ক্ষমা চাওয়া,

    পূর্বের পোষ্টঃ কবরের আযাব,

    পরের পোষ্টঃ কবরের আযাব থেকে ক্ষমা চাওয়ার দোআ,


    আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন,
    ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অল-কাসালি অল-জুব্নি অল-হারামি অল-বুখ্ল, অ আঊযু বিকা মিন আযাবিল ক্বাবরি, অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহ্য়্যা অল-মামাতি, (অ যবালাইদ্ দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল।)
    অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, স্থবিরতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (এবং ঋণের ভার ও মানুষের প্রতাপ থেকে)।
    অপর বর্ণনায় (যুক্ত) আছে, অদ্বাল‘ইদ-দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল। (মুসলিম) [1]
    হারুন ইবনু সাঈদ, হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া ও আমর ইবনু সাওয়াদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তারপর থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে শুনেছি। [2]
    যুহায়র ইবনু হারব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদিনার দুজন ইয়াহুদী বৃদ্ধা আমার কাছে এল এবং বলল, কবরবাসীদের কবরের মধ্যে আযাব দেওয়া হয়। আমি তাদের মিথ্যাবাদিনী বলতে আমার মনে চাইল না। তারা চলে যাওয়ার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে এলেন। আমিা তাঁকে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মদিনার দু-জন বৃদ্ধা ইয়াহুদী আমার নিকট এসেছিল। তারা বলেছে, কবরের মধ্যে কবরবাসীদের আযাব দেওয়া হয়। তিনি বললেন, তারা সত্য বলেছেন তাদের এরূপ আযাব দেওয়া হয় যে, তা জীবজন্তুরা শুনতে পায়। আয়িশা (রাঃ) বলেন, এরপর আমি তাকে প্রত্যেক সালাতে কবর আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে দেখেছি। [3]
    নাসর ইবনু আলী আন-জাহযামী, ইবনু নুমায়র, আবূ কুরায়ব ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ সালাতে তাশাহুদ পড়বে, তখন চারটি বিষয় থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। বলবেঃ
    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ
    "হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে।" [4]
    যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ আখেরী বৈঠক তাশাহুদ শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট চারটি জিনিস থেকে আশ্রয় চাইবে। জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন-মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে। [5]
    মুহাম্মদ ইবনু আব্বাদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়ারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নিকট আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর, আল্লাহর নিকট কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর, আল্লাহর নিকট মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর এবং আল্লাহর নিকট জীবন-মরনের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। [6]
    কুতয়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে যেমন কুরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন তেমনি এক দু’আও শিক্ষা দিতেন। বলতেন, বলঃ
    اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ
    (হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট পানাহ চাই জাহান্নামের আযাব থেকে, আমি তোমার নিকট পানাহ চাই কবরের আযাব থেকে, আমি তোমার নিকট পানাহ চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আমি তোমার নিকট পানাহ চৗই জীবন-মরনের ফিতনা থেকে।)
    মুসলিম ইবনু হাজ্জাজ (রহঃ) বলেন, আমি জানতে পেরেছি, তাঊস তার পুত্রকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি তোমার সালাতে এই দুআ পড়েছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, তোমার সালাত আবার আদায় কর। কেননা, (তোমার পিতা) তাঊস এই হাদীসটি তিনজন অথবা চারজন রাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। অথবা তিনি যেরূপ বলেছেন। [7]
    [1] সহীহুল বুখারী ২৮২৩, ৪৭০৭, ৬৩৬৭, ৬৩৬৯, ৬৩৭১, মুসলিম ২৭০৬, তিরমিযী ৩৪৮৪, ৩৪৮৫, নাসায়ী ৫৪৪৮-৫৪৫২, ৫৪৫৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৬, ৫৪৯৫, ৫৫০৩, আবূ দাউদ ১৫৪০, ৩৯৭২, আহমাদ ১১৭০৩, ১১৭৫৬, ১১৮১৬, ১২৪২২, ১৩৬৬৩, ১২৭২০, ১২৭৬০, ১২৮২১, ১২৮৯১ হাদিসের মানঃ সহিহ
    [2] সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ১১৯৮
    হাদিসের মানঃ সহিহ
    [3] সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ১১৯৯
    হাদিসের মানঃ সহিহ
    [4] সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ১২০২
    হাদিসের মানঃ সহিহ
    [5] সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) ১২০৪
    হাদিসের মানঃ সহিহ
    [6] সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ১২০৭
    হাদিসের মানঃ সহিহ
    [7] সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ১২১১
    হাদিসের মানঃ সহিহ