• Latest post

    মাগরিবের সালাত আদায়ের সঠিক সময়,

    মাগরিবের ওয়াক্ত :

    মাগরিবের ছালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কেও কিছু যঈফ ও জাল হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন-

    (১) أَوَّلُ وَقْتِ الْمَغْرِبِ حِيْنَ تَغْرِبُ الشَّمْسُ وَآخِرُ حِيْنَ يَغِيْبُ الشَّفَقُ.

    (১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, মাগরিবের প্রথম সময় হল যখন সূর্য ডুবে যায়। আর শেষ সময় যখন শাফাক্ব ডুবে যায়।[1]

    তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল।[2] ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, ‘আমি এরূপ বর্ণনা পাইনি’। আল্লামা যায়লাঈ বলেন, ‘এটি গরীব। অর্থাৎ ভিত্তিহীন।[3]

    (২) رُوِىَ عَنِ النَّبِىِّ  أَنَّهُ قَالَ آَخِرُ وَقْتِ الْمَغْرِبِ إِذَا أَسُوْدَ الْأَفَقِ.

    (২) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে বর্ণনা করা হয়েছে যে, মাগরিবের শেষ সময় হল, দিগন্তে যখন কালো রেখা দেখা যাবে।[4]

    তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল।[5] ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, ‘আমি এরূপ বর্ণনা পাইনি’।[6]

    (3) عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  الشَّفَقُ الْحُمْرَةُ فَإِذَا غَابَ الشَّفَقُ وَجَبَتِ الصَّلاَةُ.

    (৩) ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, শাফাক্ব হল, লালিমা। যখন লালিমা দূরীভূত হবে তখন ছালাত ওয়াজিব হবে।[7] 

    তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি যঈফ। এর সনদে আতীক্ব ইবনু ইয়াকুব নামে ত্রুটিপূর্ণ রাবী আছে।[8] তাছাড়া উক্ত বর্ণনা এশার ছালাতের জন্য প্রযোজ্য, মাগরিবের জন্য নয়। মূলতঃ লালিমা দূর হওয়ার পর মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে না। কিন্তু উক্ত বর্ণনাগুলোতে দাবী করা হয়েছে।

    (৪) عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ  الشَّفَقُ الْحُمْرَةُ.

    (৪) ইবনু ওমর থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, শাফাক্ব হল লালিমা।[9]

    তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি যঈফ।[10]

    মাগরিব ছালাতের সঠিক সময় :

    সূর্য ডুবার পরেই মাগরিবের ছালাতের সময় শুরু হয়। আর সূর্যের লালিমা থাকা পর্যন্ত এর সময় অবশিষ্ট থাকে।[11]

    [1]. যায়লাঈ ১/২৩০। [2]. তানক্বীহ, পৃঃ ২৬৭। [3]. আদ-দিরায়াহ ১/১০২। [4]. নাছবুর রায়াহ ১/২৩৪ পৃঃ; ইবনু হাজার আদ-দিরায়াহ ১/১০৩। [5]. তানকীহুল কালাম, পৃঃ ২৬৭। [6]. আদ-দিরায়াহ ১/১০৩ পৃঃ। [7]. বায়হাক্বী হা/১৮১৬; দারাকুৎনী ১/২৬৯। [8]. সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৭৫৯। [9]. দারাকুৎনী ১/২৬১; বায়হাক্বী ১/৩৭৩। [10]. সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৭৫৯-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ; তানক্বীহ, পৃঃ ২৬৬। [11]. ছহীহ মুসলিম হা/১৪১৯, ১/২২৩ পৃঃ, (ইফাবা হা/১২৬২); মিশকাত হা/৫৮১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৩৪, ২/১৬৭ পৃঃ, ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘ওয়াক্ত সমূহ’ অনুচ্ছেদ।