• Latest post

    ওযুর গুরুত্ব ও ফযিলত,

    ওযুর গুরুত্ব ও ফযিলত:
    মহান আল্লাহ বলেন,
    ﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قُمۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى قَوْله تَعَالَى:  مَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيَجۡعَلَ عَلَيۡكُم مِّنۡ حَرَجٖ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمۡ وَلِيُتِمَّ نِعۡمَتَهُۥ عَلَيۡكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ٦ ﴾ (المائ‍دة: ٦) 
    অর্থাৎ “হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর এবং তোমাদের মাথা মাসাহ কর এবং পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধৌত কর। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তাহলে বিশেষভাবে (গোসল করে) পবিত্র হও। যদি তোমরা পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা হতে আগমন করে, অথবা তোমরা স্ত্রী-সহবাস কর এবং পানি না পাও, তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর; তা দিয়ে তোমাদের মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয় মাসাহ কর। আল্লাহ তোমাদেরকে কোন প্রকার কষ্ট দিতে চান না, বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান ও তোমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।” (সূরা মায়েদাহ ৬ আয়াত) 

    আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “নিশ্চয় আমার উম্মতকে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় ডাকা হবে, যে সময় তাদের ওজুর অঙ্গগুলো চমকাতে থাকবে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তার চমক বাড়াতে চায়, সে যেন তা করে।” (অর্থাৎ সে যেন তার ওজুর সীমার অতিরিক্ত অংশও ধুয়ে ফেলে।) (বুখারী, মুসলিম)[1] 
    [1] সহীহুল বুখারী ১৩৬, মুসলিম ২৪৬, ইবনু মাজাহ ৪৩০৬, আহমাদ ৮২০৮, ৮৫২৪, ৮৯৪২, ১০৩৯৯, মুওয়াত্তা মালিক ৬০

    উসমান ইবনে ‘আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমার এই ওজুর মত ওযু করতে দেখলাম। অতঃপর তিনি বললেন, “যে ব্যক্তি এরূপ ওযু করবে, তার পূর্বকৃত পাপরাশি মাফ করা হবে এবং তার নামায ও মসজিদের দিকে চলার সওয়াব অতিরিক্ত হবে।” (মুসলিম) [1]
    [1] সহীহুল বুখারী ১৬০, ১৬৪, ১৯৩৪, ৬৪৩৩, মুসলিম ২২৯, ২২৬, ২২৭, ২৩১২, নাসায়ী ৮৪, ৮৫, ১৪৫, ১৪৬, ৮৫৬, আবূ দাউদ ১০৬, ১০৮, ১১০, ইবনু মাজাহ ২৮৫, আহমাদ ৪০২, ৪১৭, ৪২০, ৪৩১, ৪৩২, ৪৬১, ৪৭৪, ৪৮৫, ৪৯১, ৫০৫, ৫১৮, ৫২৮, ৫৫৪, মুওয়াত্তা মালিক ৬১, দারেমী ৬৯৩

    উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) কবরস্থানে এসে (কবর-বাসীদের সম্বোধন করে) বললেন, “হে (পরকালের) ঘরবাসী মুমিনগণ! তোমাদের উপর শান্তি বর্ষণ হোক। যদি আল্লাহ চান তো আমরাও তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব। আমার বাসনা যে, যদি আমরা আমাদের ভাইদেরকে দেখতে পেতাম।” সাহাবীগণ নিবেদন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আপনার ভাই নই?’ তিনি বললেন, “তোমরা তো আমার সহচরবৃন্দ। আমার ভাই তারা, যারা এখনো পর্যন্ত আগমন করেনি।” সাহাবীগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উম্মতের মধ্যে যারা এখনো পর্যন্ত আগমন করেনি, তাদেরকে আপনি কিভাবে চিনতে পারবেন?’ তিনি বললেন, “আচ্ছা বল, যদি খাঁটি কাল রঙের ঘোড়ার দলে, কোনো লোকের কপাল ও পা সাদা দাগবিশিষ্ট ঘোড়া থাকে, তাহলে কি সে তার ঘোড়া চিনতে পারবে না?” তাঁরা বললেন, ‘অবশ্যই পারবে, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, “তারা এই অবস্থায় (হাশরের মাঠে) আগমন করবে যে, ওযু করার দরুন তাদের হাত-পা চমকাতে থাকবে। আর আমি ‘হাওজে’-এ তাদের অগ্রগামী ব্যবস্থাপক হব।” (অর্থাৎ তাদের আগেই আমি সেখানে পৌঁছে যাব।) (মুসলিম) [1]
    [1] সহীহুল বুখারী ২৩৬৭, মুসলিম ২৪৯, নাসায়ী ১৫০, আবূ দাউদ ৩২৩৭, ইবনু মাজাহ ৪৩০৬, আহমাদ ৭৯৩৩, ৮৬৬১, ৯০৩৭, ৯৫৪৭, ৯৬৯৩, মুওয়াত্তা মালিক ৬০

    উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা সমবেত সহচরদের উদ্দেশ্যে) বললেন, “তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলব না কি, যার দ্বারা আল্লাহ গোনাহসমূহকে মোচন করে দেবেন এবং (জান্নাতে) তার দ্বারা মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন?” তাঁরা বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, “(তা হচ্ছে) কষ্টকর অবস্থায় পরিপূর্ণরূপে ওযু করা, অধিক মাত্রায় মসজিদে গমন করা এবং এক অক্তের নামায আদায় করে পরবর্তী অক্তের নামাযের জন্য অপেক্ষা করা। আর এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ। এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ।” (মুসলিম) [1]
    [1] মুসলিম ২৫১, তিরমিযী ৫১, নাসায়ী ১৪৩, আহমাদ ৭১৬৮, ৭৬৭২, ৭৯৩৫, ৭৯৬১, ৯৩৬১, মুওয়াত্তা মালিক ৩৮৬ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

    ওযুর গুরুত্ব ও ফযিলত