• Latest post

    দোয়ার গুরুত্ব ও ফযিলত,

    দোয়ার ফযিলত,
    দোয়ার ফযিলত,

    দোয়ার গুরুত্ব ও ফযিলতঃ

    দোয়ার গুরুত্ব :
    রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ ‘দোয়া হ’ল ইবাদত’।[1]
    আল্লাহ বলেন,اُدْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ، إِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ سَيَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دَاخِرِيْنَ- (غافر60)- ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকার বশে আমার ইবাদত হ’তে বিমুখ হয়, সত্বর তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত অবস্থায়’। এখানে ‘ইবাদত’ অর্থ দোয়া।[2]
    আল্লাহ আরও বলেন,
    وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيْبٌ أُجِيْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيْبُوْا لِي وَلْيُؤْمِنُوْا بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُوْنَ- (البقرة 186)-
    ‘আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে আমার বিষয়ে জিজ্ঞেস করে, তখন বলে দাও যে, আমি তাদের অতীব নিকটবর্তী। আমি আহবানকারীর আহবানে সাড়া দিয়ে থাকি, যখন সে আমাকে আহবান করে। অতএব তারা যেন আমার আদেশ সমূহ পালন করে এবং আমার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে। যাতে তারা সুপথ প্রাপ্ত হয়’ (বাক্বারাহ ২/১৮৬)।
    রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, مَنْ لَمْ يَدْعُ اللهَ سُبْحَانَهُ غَضِبَ عَلَيْهِ ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহকে ডাকে না, তিনি তার উপরে ক্রুদ্ধ হন’। [3] তিনি বলেন, لَيْسَ شَىْءٌ أَكْرَمَ عَلَى اللهِ سُبْحَانَهُ مِنَ الدُّعَاءِ ‘মহান আল্লাহর নিকট দোয়ার চাইতে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর কিছু নেই’।[4]
    [1] . তিরমিযী, আবুদাঊদ প্রভৃতি, মিশকাত হা/২২৩০ ‘দোয়া সমূহ’ অধ্যায়-৯, পরিচ্ছেদ-২। [2] . গাফের/মুমিন ৪০/৬০; ‘আওনুল মা‘বূদ হা/১৪৬৬-এর ব্যাখ্যা, ‘দোয়া’ অনুচ্ছেদ-৩৫২। [3] . ইবনু মাজাহ হা/৩৮২৭ ‘দোয়া’ অধ্যায়-৩৪, ‘দোয়ার মর্যাদা’ অনুচ্ছেদ-১। [4] . তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, হাদীছ হাসান, মিশকাত হা/২২৩২, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, পরিচ্ছেদ-২।

    দোয়ার ফযীলত : হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘মুসলমান যখন অন্য কোন মুসলমানের জন্য দো‘আ করে, যার মধ্যে কোনরূপ গোনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা থাকে না, আল্লাহ পাক উক্ত দো‘আর বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোন একটি দান করে থাকেন।
    (১) তার দো‘আ দ্রুত কবুল করেন অথবা
    (২) তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদান করার জন্য রেখে দেন অথবা
    (৩) তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন। একথা শুনে ছাহাবীগণ উৎসাহিত হয়ে বললেন, তাহ’লে আমরা বেশী বেশী দো‘আ করব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আল্লাহ তার চাইতে আরও বেশী দো‘আ কবুলকারী’।[5] এজন্য সর্বদা পরস্পরের নিকট দো‘আ চাইতে হবে।
    [5] . আহমাদ, হাকেম, মিশকাত হা/২২৫৯ ‘দোয়া সমূহ’ অধ্যায়-৯; সনদ হাসান -আলবানী; হাদীছ ছহীহ, আহমাদ হাসান দেহলভী, তানক্বীহুর রুওয়াত ফী তাখরীজি আহাদীছিল মিশকাত (লাহোর: দারুদ দা‘ওয়াতিস সালাফিইয়াহ, ১৯৮৩), ২/৬৯ পৃঃ।