• Latest post

    কবরের আযাব থেকে ক্ষমা চাওয়ার দোআ, কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাবার দোআ,

    সায়াদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযসমূহের শেষাংশে এই দো‘আ পড়ে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন,

    ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল বুখলি অ আঊযু বিকা মিনাল জুবনি অ আঊযু বিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল উমুরি অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিদ্দুন্য়্যা অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল ক্বাবর।’

    অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট কার্পণ্য ও ভীরুতা থেকে পানাহ চাচ্ছি, স্থবিরতার বয়সে কবলিত হওয়া থেকে আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আর দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের ফিতনা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। (বুখারী) [1]  

    আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ (নামাযের মধ্যে) তাশাহহুদ (অর্থাৎ আত্-তাহিয়্যাত) পড়বে, তখন সে এ চারটি জিনিস হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে; বলবে,

    ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন আযা-বি জাহান্নাম, অমিন আযা-বিল ক্বাব্র, অমিন ফিতনাতিল মাহয়্যা অলমামা-ত, অমিন শার্রি ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল।’

    অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং কানা দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” (মুসলিম) [2]

    আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন,

    ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অল-কাসালি অল-জুব্নি অল-হারামি অল-বুখ্ল, অ আঊযু বিকা মিন আযাবিল ক্বাবরি, অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহ্য়্যা অল-মামাতি, (অ যবালাইদ্ দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল।)’

    অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, স্থবিরতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (এবং ঋণের ভার ও মানুষের প্রতাপ থেকে)।
    অপর বর্ণনায় (যুক্ত) আছে, অদ্বাল‘ইদ-দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল। (মুসলিম) [3]

    [1] সহীহুল বুখারী ৬৩৬৫, ৬৩৭০, ৬৩৭৪, ৬৩৯০, তিরমিযী ৩৫৬৭, নাসায়ী ৫৪৪৫, ৫৪৪৭, ৫৪৭৮, ৫৪৭৯, ৫৪৮২, ৫৪৮৩, আহমাদ ১৫৮৯, ১৬২৪ হাদিসের মানঃ সহিহ
    [2] সহীহুল বুখারী ১৩৭৭, মুসলিম ৫৮৮, তিরমিযী ৩৬০৪, নাসায়ী ১৩১০, ৫৫০৫, ৫৫০৬, ৫৫০৯, ৫৫১১, ৫৫১৩-৫৫১৮, ৫৫২০, আবূ দাউদ ৯৮৩, ইবনু মাজাহ ৯০৯, আহমাদ ৭১৯৬, ৭৮১০, ৭৯০৪, ৯০৯৩, ৯১৮৩, ৯৫৪৬, ৯৮২৪, ১০৩৮৯, ২৭৮৯০, ২৭৬৭৪, ২৭২৮০, দারেমী ১৩৪৪ হাদিসের মানঃ সহিহ
    [3] সহীহুল বুখারী ২৮২৩, ৪৭০৭, ৬৩৬৭, ৬৩৬৯, ৬৩৭১, মুসলিম ২৭০৬, তিরমিযী ৩৪৮৪, ৩৪৮৫, নাসায়ী ৫৪৪৮-৫৪৫২, ৫৪৫৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৬, ৫৪৯৫, ৫৫০৩, আবূ দাউদ ১৫৪০, ৩৯৭২, আহমাদ ১১৭০৩, ১১৭৫৬, ১১৮১৬, ১২৪২২, ১৩৬৬৩, ১২৭২০, ১২৭৬০, ১২৮২১, ১২৮৯১ হাদিসের মানঃ সহিহ