• Latest post

    বেগানা নারীর দিকে তাকানো হারাম, বেগানা নারীর সাথে নির্জনতা অবলম্বন করা হারাম,

    বেগানা নারী এবং কোনো সুদর্শন বালকের দিকে শরয়ী প্রয়োজন ছাড়া তাকানো হারাম :

    শুনুন আপনাদেরকেই বলছি, যারা সারাদিন ফেসবুকের মেয়ের ছবির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন ৷ আপনারা তাদের ছবিতে লাইক, কমেন্ট করেন ৷ আপনারা কি মুসলিম?
    নাকি ইহুদি খৃষ্টান,  মুসলমান হলে , আপনারা জান্নাতে যেতে চান না ৷

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সকল উম্মাতই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু যে অস্বীকার করবে। তারা বললেন, কে অস্বীকার করবে। তিনি বললেনঃ যারা আমার অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার অবাধ্য হবে সে-ই অস্বীকার করবে।[1]
    [ যারা আল্লাহর রাসূলের সহীহ হাদীসকে জেনে বুঝে স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে পরিত্যাগ ক’রে কারো স্বকপোল কল্পিত রায় কিয়াসের অনুসরণ করে তারা আল্লাহর রাসূলের অবাধ্য]

    রাসূল (ছাঃ) এর কথা,  হাদিস শোনার পরেও আপনারা মেয়েদের সাথে চ্যাটিং, ডেটিং করবেন,
    এসব করে জান্নাতে যেতে পারবেন ৷
    ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘জান্নাত তোমাদের কারো জুতোর ফিতার চাইতেও বেশী নিকটবর্তী, আর জাহান্নামও তদ্রূপ।’’ (বুখারী)  [2]

    শুনুন আপনি কি এটা জানেন,
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘দুনিয়া মু’মিনের জন্য জেলখানা এবং কাফেরের জন্য জান্নাত।’’ (মুসলিম) [3]

    মহান আল্লাহ বলেছেন, ﴿قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ﴾ [النور : ٣٠]

    অর্থাৎ ঈমানদারগণকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে। (সূরা নূর ৩০ আয়াত)

    তিনি আরও বলেছেন, ﴿ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا﴾ [الاسراء: ٣٦]

    অর্থাৎ নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় ওদের প্রত্যেকের নিকট কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা বানী ইস্রাঈল ৩৬ আয়াত)

    তিনি অন্যত্র বলেছেন,  ﴿ يَعْلَمُ خَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ﴾ [غافر: ١٩]

    অর্থাৎ চক্ষুর চোরা চাহনি ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্বন্ধে তিনি অবহিত। (সূরা মুমিন ১৯ আয়াত)

    তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন, ﴿ إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ﴾ [الفجر: ١٤]

    অর্থাৎ নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক সময়ের প্রতীক্ষায় থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। (সূরা ফাজ্র ১৪ আয়াত)

    আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আদম সন্তানের জন্য ব্যভিচারের অংশ লিখে দিয়েছেন; যা সে অবশ্যই পাবে। সুতরাং চক্ষুদ্বয়ের ব্যভিচার [সকাম অবৈধ] দর্শন। কর্ণদ্বয়ের ব্যভিচার [অবৈধ যৌনকথা] শ্রবণ, জিভের ব্যভিচার [সকাম অবৈধ] কথন, হাতের ব্যভিচার [সকাম অবৈধ] ধারণ এবং পায়ের ব্যভিচার [সকাম অবৈধ পথে] গমন। আর হৃদয় কামনা ও বাসনা করে এবং জননেন্দ্রিয় তা সত্য বা মিথ্যায় পরিণত করে।’’ (মুসলিম) [4]

    শুনুন আপনারা রাত্রে মেয়েদের সাথে গোপনে মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলেন এটা কি যেনা হয়না,

    জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, আচমকা দৃষ্টি সম্পর্কে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘‘তুমি তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও।’’ (মুসলিম) [5]

    শুনুন আপনি আবারও রাসূল (ছাঃ) এর কথার অবাধ্য, রাস্তার মেয়ের দিক থেকে আপনার চোখ কিছুতেই ফিরে আসেনা ৷

    আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

    وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ

    অর্থাৎ তোমরা তাদের নিকট হতে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল হতে চাও। (সূরা আহযাব ৫৩ আয়াত)

    উকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা [বেগানা] নারীদের নিকট [একাকী] যাওয়া থেকে বিরত থাক।’’ [এ কথা শুনে] জনৈক আনসারী নিবেদন করল, ‘স্বামীর আত্মীয় সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?’ তিনি বললেন, ‘‘স্বামীর আত্মীয় তো মুত্যুসম [বিপজ্জনক]।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [6]

    **‘স্বামীর আত্মীয়’ যেমন, তার ভাই, ভাইপো, চাচাতো [মামাতো, খালাতো ফুফাতো] ভাই ইত্যাদি।
    [প্রকাশ থাকে যে, স্বামীর ছোট ভাই কোন মুসলিম মহিলার ‘দেওর’ ‘দেবর’ বা দ্বিতীয় বর হতে পারে না। মহিলার উচিত, তাকে দ্বিতীয় বর বা উপহাসের পাত্র মনে না করে নিজ ছোট ভাই সম গণ্য করা। যেমন ঐ ভাইয়ের উচিত, ভাবীকে ‘ভাবের ই’ মনে না করে নিজ বড় বোন সম গণ্য করা।]

    ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মাহরামের উপস্থিতি ছাড়া কোন পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে নির্জন-বাস না করে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [7]
    [যার সাথে চিরতরে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন হারাম, তাকেই মাহরাম বা এগানা বলে। আর এর বিপরীত যার সাথে কোনও সময় বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন জায়েয, তাকেই গায়র মাহরাম বা বেগানা বলে।]

    [1](বুখারি ৭২৮০,আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৮৩)
    [2] সহীহুল বুখারী ৬৪৮৮, আহমাদ ৩৬৫৮, ৩৯১৩, ৪২০৪ হাদিসের মানঃ সহিহ
    [3] মুসলিম ২৯৫৬, তিরমিযী ২৩২৪, ইবনু মাজাহ ৪১১৩, আহমাদ ৮০৯০, ২৭৪৯১, ৯৯১৬ হাদিসের মানঃ সহিহ
    [4] সহীহুল বুখারী ৬২৪৩, ৬৬১২, মুসলিম ২৬৫৭, আবূ দাউদ ২১৫২, আহমাদ ৭৬৬২, ৮১৫৬, ৮৩২১, ৮৩৩৪, ৮৩৯২, ৮৬২৬, ৯০৭৬, ৯২৭৯ হাদিসের মানঃ সহিহ
    [5] মুসলিম ২১৫৯, তিরমিযী ২৭৭৬, আবূ দাউদ ২১৪৮, আহমাদ ১৮৬৭৯, ১৮৭১৫, দারেমী ২৬৪৩ হাদিসের মানঃ সহিহ

    [6] সহীহুল বুখারী ৫২৩২, মুসলিম ২১৭২, তিরমিযী ১১৭১, আহমাদ ১৬৮৯৬, ১৬৯৪৫, দারেমী ২৬৪২ হাদিসের মানঃ সহিহ
    [7] সহীহুল বুখারী ১৮৬২, ৩০০৬, ৩০৬১, ৫২৩৩, মুসলিম ১৩৪১, ইবনু মাজাহ ২৯০০, আহমাদ ১৯৩৫, ৩২২১ হাদিসের মানঃ সহিহ


    নারী
    বেগানা নারীকে দেখা


    সূরা আল হাশর:7 - রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। সূরা মুহাম্মদ:33 - হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর এবং নিজেদের কর্ম বিনষ্ট করো না।