• Latest post

    ওয়াসিলা কিভাবে করতে হয়? উসীলা কিভাবে করবেন,

    উসীলা কিভাবে করবেন:
    আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মাধ্যমে উসীলা গ্রহণ করাঃ
    আল্লাহর নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ করে নির্দিষ্ট প্রয়োজন পূর্ণ হওয়ার জন্য তাঁর কাছে দু’আ করা।
    যেমনঃ
    اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْلِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ 
    *হে আল্লাহ! আমি আমার আত্মার উপর অবিচার করেছি। আপনি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার কেউ নেই। তাই আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং রহম করুন। আপনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়াময়।” এখানে আল্লাহর দু’টি নাম যথাঃ ‘গাফূর’ এবং ‘রাহীম’ এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত কামনা করা হয়েছে।*
    অর্থাৎ আল্লাহর নাম *রহমানুর রহীম* নামের উসীলায় ক্ষমা করুন , *গফুরুর রহীম*  নামের উসীলায় দয়া করুন।.. আমীন। ইত্যাদি নামের উসীলায় দোয়া করবেন।

    ২.“হে আল্লাহ! আপনার ইলম এবং মাখলুকের উপর আপনার *ক্ষমতার উসীলা* দিয়ে এই দু’আ করছি যে, আমার জীবিত থাকা যদি আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে আমাকে জীবিত রাখুন। আর যদি জানেন যে, আমার মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণর, তাহলে আমাকে মৃত্যু দান করুন।” এখানে ইলম ও কুদ্‌রাত- এই দু’টি গুণের মাধ্যমে উসীলা দেয়া হয়েছে। 

    ৩. আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর প্রতি *ঈমান আনয়নের মাধ্যমে উসীলা দেয়াঃ* এভাবে বলবে যে, হে আল্লাহ! আমি আপনার উপর এবং আপনার রাসূলের উপর ঈমান এনেছি। এই ঈমানের উসীলায় আমাকে ক্ষমা করুন। 

    ৪. সৎ আমলের উসীলা* দিয়ে আল্লাহর কাছে দু’আ করাঃ
    এখানে তিন ব্যক্তির ঘটনাটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। *তারা রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে একটি গুহার ভিতরে আশ্রয় নিয়েছিল। উপর থেকে একটি পাথর গড়িয়ে পড়ে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেলে গুহা থেকে তাদের বের হওয়া অসম্ভব হয়ে গেল। অতঃপর তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ সৎ আমল তুলে ধরে আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিল। একজন পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ করার উসীলা দিল, দ্বিতীয় ব্যক্তি অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার উসীলা দিল এবং তৃতীয়জন তার চাকরের বেতন পূর্ণভাবে প্রদান করার উসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দু’আ করা আরম্ভ করল। তারা প্রত্যেকেই দু’আয় বলেছিল, হে আল্লাহ! আমি যদি এই আমলটুকু আপনার সন'ষ্টির জন্য করে থাকি, তাহলে আপনি আমাদেরকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করুন। এভাবে দু’আ করার পর পাথরটি সরে গেল এবং তারা গুহা থেকে বের হয়ে আসল।*
    (বুখারী-৬৮৯৯ / মুসলিম ৬৬৯৮)

    এই ঘটনাটিতে সৎ আমলকে উসীলা ধরে দু’আ করার কথা প্রমাণিত হয়।
    ৫. দু’আ কবুল হওয়ার আশা করা যায় এমন কোন *সৎ ব্যক্তির কাছে গিয়ে তার কাছে দু’আ চাওয়া* যায়েজ।
    ৬.পূর্বের পাপের জন্য খালেছভাবে তাওবা করতে হবে।কারণ আমরা সবাই ভুলকারী(আবুদাঊদ )।মহান আল্লাহ বলেন;যে ব্যাক্তি পাপ করার পরে ঈমান আনে ও খালেছভাবে তাওবা করে ,আল্লাহ তার পাপগুলোকে নেকীতে পরিপূর্ণ করে দেন(ফুরক্বান ২৫/৭০)

    মৃত ব্যক্তির উসীলা দিয়ে দু’আ করা জায়েয নেই
    সাহাবীগণ নবী (সঃ) এর মৃত্যুর পর তাঁর কাছে এসে দু’আ চাননি। উমার (রাঃ) এর আমলে যখন অনাবৃষ্টি দেখা দেয়, তখন তিনি বললেনঃ
    হে আল্লাহ! আপনার নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবিত থাকাকালে তাঁর দোয়ার মাধ্যমে আমরা আপনার কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করতাম। এবং আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি প্রদান করতেন। এখন নবীর(স) চাচা জীবিত আব্বাসের(রাঃ) দোয়ার মাধ্যমে আপনার কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করছি। আমাদেরকে বৃষ্টি প্রদান করুন। তারপর আব্বাস (রাঃ) দাঁড়ালেন এবং দু’আ করলেন(মুসলিম)। মৃতের কাছে দু’আ চাওয়া যদি বৈধ হতো, তা হলে কোন ক্রমেই তারা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বাদ দিয়ে আব্বাস (রাঃ) এর কাছে দু’আ চাওয়া বৈধ মনে করতেন না। কারণ আব্বাস (রাঃ) এর দু’আর চেয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দু’আ কবূল হওয়া অধিক উপযোগী। মোটকথা মৃত ব্যক্তির উসীলা দিয়ে দু’আ করা জায়েয নেই।*
    আল্লাহ আমাদেরকে সঠিকভাবে ওয়াসিলা করার ও পালন করার তাওফীক দান করুন।আমিন!ছুম্মা আমিন!

    উসীলা কিভাবে করবেন: