• Latest post

    তওবায় বিরক্ত না হয়ে বারবার তাওবা করুন,

    তওবা করার দোয়া ও তওবা করার সময়সীমাঃ
    وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال‏:‏ سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول‏:‏ ‏ "‏والله إني لأستغفر الله وأتوب إليه في اليوم أكثر من سبعين مرة ‏"‏ ‏(‏‏‏رواه البخاري‏‏‏)‏‏.‏

    আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ‘‘আল্লাহর কসম! আমি প্রত্যহ ৭০ বারের অধিক আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা ও তওবা করি।’’[১]
    [১] সহীহুল বুখারী ৬৩০৭, তিরমিযী ৩২৫৯, ইবনুূু মাজাহ ৩৮১৬, আহমাদ ৭৭৩৪, ৮২৮৮, ৯৫১৫

    وعن الأغر بن يسار المزنى رضي الله عنه قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏ "‏ ياأيها الناس توبوا إلى الله واستغفروه فإنى أتوب في اليوم مائه مرة‏"‏ ‏(‏‏‏رواه مسلم‏‏‏)‏‏.‏

    আগার্র ইবনু ইয়াসার মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর সমীপে তওবা কর ও তাঁর নিকট ক্ষমা চাও! কেননা, আমি প্রতিদিন ১০০ বার  করে তওবাহ করে থাকি।’’[১]
    [১] মুসলিম ২৭০২, আবূ দাউদ ১৫১৫, আহমাদ ১৭৩৯১, ১৭৮২৭

    وعن أبي هريرة رضي الله عنه، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، أنه قال: «قال الله - عز وجل -: أنا عند ظن عبدي بي، وأنا معه حيث يذكرني، والله، لله أفرح بتوبة عبده من أحدكم يجد ضالته بالفلاة، ومن تقرب إلي شبرا، تقربت إليه ذراعا، ومن تقرب إلي ذراعا، تقربت إليه باعا، وإذا أقبل إلي يمشي أقبلت إليه أهرول ». متفق عليه

    আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ আয্যা অজাল্ল বলেন, ‘আমি সেইরূপ, যেরূপ বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে। আমি তার সাথে থাকি, যখন যে আমাকে স্মরণ করে। আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার তওবায় তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অপেক্ষা বেশি খুশী হন, যে তার মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া বাহন ফিরে পায়। আর যে ব্যক্তি আমার দিকে এক বিঘত পরিমাণ অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত পরিমাণ অগ্রসর হই। যে আমার দিকে এক হাত পরিমাণ অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে দুই হাত পরিমাণ অগ্রসর হই। আর সে যখন আমার দিকে হেঁটে অগ্রসর হয়, আমি তখন তার দিকে দৌড়ে অগ্রসর হই।’’ (বুখারী ও মুসলিম)  [১]
    [১] সহীহুল বুখারী ৭৪০৫, ৭৫০৫, ৭৫৩৬, ৭৫৩৭, মুসলিম ২৬৭৫, তিরমিযী ২৩৮৮, ইবনু মাজাহ ৩৭২২, আহমাদ ৭৩৭৪, ২৭৪০৯, ৮৪৩৬, ৮৮৩৩, ৯০০১, ৯০৮৭, ৯৩৩৪, ৯৪৫৭

    وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏ "‏ من تاب قبل أن تطلع الشمس من مغربها تاب الله عليه‏"‏ ‏(‏‏‏رواه مسلم‏‏‏)‏‏.‏

    আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় হওয়ার পূর্বে তওবা করবে, আল্লাহ তার তওবা গ্রহণ করবেন।’’[১]
    [১] মুসলিম ২৭০৩, আহমাদ ৭৬৫৪, ৮৮৮৫, ৯২২৫, ১০০৪৭, ১০২০৩


    وعن أبي عبد الرحمن عبد الله بن عمر بن الخطاب رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏ "‏ إن الله عز وجل يقبل توبة العبد ما لم يغرغر‏"‏ ‏(‏‏‏رواه الترمذي وقال‏:‏ حديث حسن‏‏‏)‏‏.‏

    আবূ আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা বান্দার তওবাহ সে পর্যন্ত কবুল করবেন, যে পর্যন্ত তার প্রাণ কণ্ঠাগত না হয়।”[১]
    [১] তিরমিযী , ৩৫৩৭, ইবনুূু মাজাহ ৪২৫৩ ,
    রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৯

    ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘যদি আদম সন্তানের সোনার একটি উপত্যকা হয়, তবুও সে চাইবে যে, তার কাছে দুটি উপত্যকা হোক। (কবরের) মাটিই একমাত্র তার মুখ পূর্ণ করতে পারবে। আর যে তওবা করে, আল্লাহ তওবা গ্রহণ করেন।’’(সহীহুল বুখারী ৬৪৩৬, ৬৪৩৭, মুসলিম ১০৪৯, তিরমিযী ৩৭৯৩, ৩৮৯৮, আহমাদ ৩৪৯১, ২০৬০৭, ২০৬৯৭)
    রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ২৪

    আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘‘আল্লাহ সুবহানাহু অতা‘আলা ঐ দু’টি লোককে দেখে হাসেন, যাদের মধ্যে একজন অপরজনকে হত্যা করে এবং দু’জনই জান্নাতে প্রবেশ করবে। নিহত ব্যক্তিকে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করা অবস্থায় (কোন কাফের কর্তৃক) হত্যা করে দেওয়া হল। পরে আল্লাহ তা‘আলা হত্যাকারী কাফেরকে তওবা করার তাওফীক প্রদান করেন। ফলে সে ইসলাম গ্রহণ করে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে যায়।’’(সহীহুল বুখারী-২৮২৬, মুসলিম ১৮৯০, নাসায়ী ৩১৬৫, ৩১৬৬, ইবনু মাজাহ ১৯১, আহমাদ ৭২৮২, ২৭৪৪৬, ৯৬৫৭, ১০২৫৮, মুওয়াত্তা মালিক ১০০০)

    তওবার দোয়াঃ
     
    وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: كنا نعد لرسول الله صلى الله عليه وسلم في المجلس الواحد مئة مرة : «رب اغفر لي وتب علي إنك أنت التواب الرحيم» . رواه أبو داود والترمذي، وقال :[حديث حسن صحيح غريب ]

    ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, একই মজলিসে বসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর [এই ইস্তিগফারটি] পাঠ করা অবস্থায় একশো বার পর্যন্ত গুনতাম,
    ‘রাব্বিগ্ফির লী অতুব আলাইয়্যা, ইন্নাকা আন্তাত তাউওয়াবুর রাহীম।’
    অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, আমার তওবা কবুল কর, নিশ্চয় তুমি অতিশয় তওবাহ কবূলকারী দয়াবান। [আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাসান সহীহ গারীব]
    (আবূ দাউদ ১৫১৬, তিরমিযী ৩৪৩৪, ইবনু মাজাহ ৩৮১৪)
    রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৮৮১

    وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من قال: أستغفر الله الذي لا إلٰه إلا هو الحي القيوم وأتوب إليه، غفرت ذنوبه، وإن كان قد فر من الزحف» . رواه أبو داود والترمذي والحاكم، وقال :[ حديث صحيح على شرط البخاري ومسلم ]

    ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এ দো‘আ পড়বে,
    ‘আস্তাগ্‌ফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যূমু অ আতূবু ইলাইহ্।’
    অর্থাৎ, আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর। এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি।

    সে ব্যক্তির পাপরাশি মার্জনা করা হবে; যদিও সে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে [যাওয়ার পাপ করে] থাকে।’’ [আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাকেম; ইনি বলেন, হাদিসটি বুখারী-মুসলিমের শর্তাধীনে বিশুদ্ধ]
    (আবূ দাউদ ১৫১৭, তিরমিযী ৩৫৭৭)
    রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৮৮৩


    وعن عائشة رضي الله عنها، قالت : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يكثر أن يقول قبل موته : «سبحان الله وبحمده، أستغفر الله، وأتوب إليه». متفق عليه

    আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর আগে এই দুআটি অধিকমাত্রায় পড়তেন,
    ‘সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, আস্তাগফিরুল্লাহা অআতূবু ইলাইহ্।’
    অর্থাৎ, আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর নিকট তওবাহ করছি।
    রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৮৮৬

    তওবার ঘটনাঃ ৯৯ জনকে হত্যা করেও জান্নাত লাভ