• Latest post

    ধর্ম যার ধর্মীয় উৎসব তার, শির্কের ভয়াবহতা,

    ধর্ম যার যার উৎসব সবাবঃ
    শির্কের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা। একজন মুসলিমের পক্ষে কোনভাবেই, কোন অজুহাতে এই শির্কের অনুষ্ঠানে যাওয়া জায়েজ নয়, শুভেচ্ছা জানানোও সম্পূর্ণ হারাম। পুজার প্রসাদ খাওয়া তো আরও বহু দূরের পথ। শুভেচ্ছা জানানোর অর্থ হলো “তুমি আল্লাহ্‌র সাথে শরিক করছো এইজন্য আমি তোমার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সফলতা জানিয়ে উইশ করলাম”। না'উযুবিল্লাহ
    __________
    ধরুন কেউ গরু জবাইয়ের লম্বা তরবারি দিয়ে তার মা-বাবা-ভাইবোন-স্ত্রী-সন্তান সবাইকেই জবাই করে ফেললো। আরও ধরুন সে ১০০ লোককে অন্যায়ভাবে হত্যা করে ফেললো। সুদ খেলো, মদ পান করলো, যিনা করলো আরও যা যা করার সব করলো। বলুন তো তার পাপের পরিমাণ কতো? জী অবশ্যই অনেক অনেক বেশি। কিন্তু এর চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর অপরাধ হল মহান আল্লাহ্‌র সাথে কাউকে শরিক করা।
    __________
    কেউ এতো গুনাহ করার পরও যদি অনুতপ্ত হয়, তাওবা করতে থাকে মৃত্যু পর্যন্ত তাহলে আশা করা যায় মহান আল্লাহ্‌ তার পাপকে ক্ষমা করবেন। কিন্তু মহান আল্লাহ্‌ কুরআনে ঘোষণা করেছেন, তিনি শির্ক ব্যতীত যেকোন গুনাহ যাকে ইচ্ছা মাফ করবেন, কিন্তু শির্কের গুনাহ মাফ করবেন না। এর থেকেই প্রমাণিত হয় এটি কতো ভয়ঙ্কর গুনাহ। (এর ব্যাখ্যা হল শির্ক করে তাওবাবিহীন মারা গেলে মাফ নেই, জীবিত অবস্থায় তাওবা করলে মাফের আশা করা যায় ইনশা আল্লাহ্‌)
    __________
    একজন মুসলিমের জন্য অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া, শুভেচ্ছা জানানো উলামায়ে কিরামের সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। এমনকি তা তাকে তার অজান্তে ইসলাম থেকেও বের করে দিবে। আল্লাহ্‌ মাফ করুক।
    __________
    “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” একটি কুফুরি স্লোগান। একজন মুসলিমের মুখ দিয়ে কখনই এই ধরণের কথা বের হতে পারে না। বের হলে আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে। যার ধর্ম সে তার উৎসব পালন করবে। এটিই ইসলামের বিধান। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশেও এখানে মুসলিমদের বাধা দেয়ার সুযোগ নেই। অমুসলিম বন্ধুকে খুশি করতে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের ঈমানকে বিক্রি করা উচিত না।
    __________
    আল্লাহ্‌ বলেন, “নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম।” সূরা আল ইমরান, আয়াত -১৯
    __________
    "হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন; তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়েই শক্তিহীন। সূরা হাজ্ব, আয়াত- ৭৩
    __________
    "নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। সূরা আন নিসা, আয়াত -১১৬
    __________
    উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, "তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে। ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রাহিঃ) তাঁর 'আহকামুল জিম্মাহ ১/৭২৩-৭২৪ এ সহিহ সনদে বায়হাক্বী থেকে এই রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন।
    __________
    রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "...অচিরেই আমার উম্মাতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে এবং আমার উম্মাতের কিছু লোক মূর্তিপূজারীদের সাথে মিশে যাবে।..." সুনানে ইবনে মাজাহঃ অধ্যায় ৩৬ (কিতাবুল ফিতান), হাদীস ৩৯৫২। তাহকীক – সহীহ
    __________
    #কারো_ধর্ম_মূর্তি_গড়া আবার #কারো_ধর্ম_মূর্তি_ভাঙ্গা। ইব্রাহীম (আঃ) ও মুহাম্মাদের ﷺ অনুসারীরা দ্বিতীয়টাকে বেছে নিয়েছে। মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহীম (আঃ) মূর্তিপূজকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "তোমাদের ও আমাদের মধ্যে চিরশত্রুতা থাকবে। সূরা মুমতাহিনা, আয়াত -৪
    __________
    এই শত্রুতা মানুষ হিসেবে নয়, এই শত্রুতা আল্লাহ্‌ সুবহানু তায়ালার সাথে শির্ক করার কারণে। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝার এবং মানার তাওফিক দান করুন।
    আমিন।