• Latest post

    আত্মসাৎ করার ভয়াবহতা, আত্মসাৎ করার পরিনতি, আত্মসাৎ meaning,

    আত্মসাৎ (Embezzlement)করার ভয়াবহতাঃ
    !حدثنا عبد الله بن محمد، حدثنا سفيان، عن عمرو، عن أبي صالح السمان، عن أبي هريرة ـ رضى الله عنه ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ثلاثة لا يكلمهم الله يوم القيامة، ولا ينظر إليهم رجل حلف على سلعة لقد أعطى بها أكثر مما أعطى وهو كاذب، ورجل حلف على يمين كاذبة بعد العصر ليقتطع بها مال رجل مسلم، ورجل منع فضل ماء، فيقول الله اليوم أمنعك فضلي، كما منعت فضل
    ما لم تعمل يداك ‏"‏‏.‏ قال علي حدثنا سفيان غير مرة عن عمرو سمع أبا صالح يبلغ به النبي صلى الله عليه وسلم‏.‏

    আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তিন শ্রেণীর লোকের সাথে আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন কথা কথা বলবেন না এবং তাদের প্রতি তাকাবেনও না। (এক) যে ব্যক্তি কোন মাল সামানের ব্যাপারে মিথ্যা কসম খেয়ে বলে যে, এর দাম এর চেয়ে বেশি বলেছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও সে তা বিক্রি করেনি। (দুই) যে ব্যক্তি আসরের সালাতের পর একজন মুসলমানের মাল-সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কসম করে। (তিন) যে ব্যক্তি তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি মানুষকে দেয় না। আল্লাহ তা’আলা বলবেন (কিয়ামাতের দিন) আজ আমি আমার অনুগ্রহ হতে তোমাকে বঞ্চিত রাখব যেরূপ তুমি তোমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি হতে বঞ্চিত রেখেছিলে অথচ তা তোমার হাতের তৈরি নয়। ‘আলী (রহঃ) আর সালিহ (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি হাদীসের সনদটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন।
     সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৩৬৯, ৭৪৪৬
    حدثنا سليمان أبو الربيع، قال حدثنا إسماعيل بن جعفر، قال حدثنا نافع بن مالك بن أبي عامر أبو سهيل، عن أبيه، عن أبي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ آية المنافق ثلاث إذا حدث كذب، وإذا وعد أخلف، وإذا اؤتمن خان

    আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটিঃ
    ১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে;
    ২. যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং
    ৩. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩, ২৬৮২,২৭৪৯,৬০৯৫; মুসলিম ১/২৫ হাঃ ৫৯, আহমাদ ৯১৬২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩২)
     
    حدثنا مسدد حدثنا يحيى عن أبي حيان قال حدثني أبو زرعة قال حدثني أبو هريرة قال قام فينا النبي صلى الله عليه وسلم فذكر الغلول فعظمه وعظم أمره قال لا ألفين أحدكم يوم القيامة على رقبته شاة لها ثغاء على رقبته فرس له حمحمة يقول يا رسول الله أغثني فأقول لا أملك لك شيئا قد أبلغتك وعلى رقبته بعير له رغاء يقول يا رسول الله أغثني فأقول لا أملك لك شيئا قد أبلغتك وعلى رقبته صامت فيقول يا رسول الله أغثني فأقول لا أملك لك شيئا قد أبلغتك أو على رقبته رقاع تخفق فيقول يا رسول الله أغثني فأقول لا أملك لك شيئا قد أبلغتك وقال أيوب عن أبي حيان فرس له حمحمة

    আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে দাঁড়ান এবং গনীমতের মাল আত্মসাৎ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। আর তিনি তা মারাত্মক অপরাধ ও তার ভয়াবহ পরিণতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বললেন, আমি তোমাদের কাউকে যেন এ অবস্থায় কেয়ামতের দিন না পাই যে, তাঁর কাঁধে বকরি বয়ে বেড়াচ্ছে আর তা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে চিৎকার দিচ্ছে। অথবা তাঁর কাঁধে রয়েছে ঘোড়া আর তা হি হি করে আওয়াজ দিচ্ছে। ঐ ব্যক্তি আমাকে বলবে, হে আল্লাহ‌্‌র রসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না। আমি তো (দুনিয়ায়) তোমার নিকট পৌঁছে দিয়েছি। অথবা কেউ তার কাঁধে বয়ে বেড়াবে উট যা চিৎকার করছে, সে আমাকে বলবে, হে আল্লাহ্‌র রসূল! একটু সাহায্য করুন। আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না। আমি তো তোমার নিকট পৌঁছে দিয়েছি। অথবা কেউ তার কাঁধে বয়ে বেড়াবে ধন-দৌলত এবং আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না। আমি তো তোমার নিকট পৌঁছে দিয়েছি। অথবা কেউ তার কাঁধে বয়ে বেড়াবে কাপড়ের টুকরাসমূহ যা দুলতে থাকবে। সে আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আমি বলব, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না; আমি তো তোমার নিকট পৌঁছে দিয়েছি।
      সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩০৭৩
    حدثنا علي بن عبد الله، أخبرنا ابن علية، عن علي بن المبارك، حدثنا يحيى بن أبي كثير، عن محمد بن إبراهيم بن الحارث، عن أبي سلمة بن عبد الرحمن، كانت بينه وبين أناس خصومة في أرض، فدخل على عائشة فذكر لها ذلك، فقالت يا أبا سلمة اجتنب الأرض، فإن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ من ظلم قيد شبر طوقه من سبع أرضين ‏"‏‏.‏

    আবূ সালামা ইব্‌নু ‘আবদির রাহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    (তিনি বলেন), কয়েকজন লোকের সঙ্গে একখণ্ড ভূমি নিয়ে তাঁর ঝগড়া ছিল। ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট এসে তা জানালেন। তিনি বললেন, হে আবূ সালামা! জমা-জমির গোলমাল হতে দূরে থাক। কেননা, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে লোক এক বিঘত পরিমাণ অন্যের জমি অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করেছে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের হার তার গলায় পরিয়ে দেয়া হবে।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩১৯৫
    حدثنا بشر بن محمد، أخبرنا عبد الله، عن موسى بن عقبة، عن سالم، عن أبيه، قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من أخذ شيئا من الأرض بغير حقه خسف به يوم القيامة إلى سبع أرضين ‏"‏‏.‏

    সালিম (রাঃ)-এর পিতা থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে লোক অন্যায়ভাবে কারো ভূমির সামান্যতম অংশও আত্মসাৎ করবে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের নীচে তাকে ধ্বসিয়ে দেয়া হবে।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩১৯৬
    حدثنا عبد الله بن يزيد، حدثنا سعيد بن أبي أيوب، قال حدثني أبو الأسود، عن ابن أبي عياش ـ واسمه نعمان ـ عن خولة الأنصارية ـ رضى الله عنها ـ قالت سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ إن رجالا يتخوضون في مال الله بغير حق، فلهم النار يوم القيامة ‏"‏‏.‏
    খাওলাহ্‌ আনসারীয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, ‘আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, কিছু লোক আল্লাহ্‌র দেয়া সম্পদ অন্যায়ভাবে ব্যয় করে, কিয়ামতের দিন তাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত।’
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩১১৮
    حدثنا عثمان، حدثنا جرير، عن منصور، عن الشعبي، عن وراد، مولى المغيرة بن شعبة عن المغيرة بن شعبة، قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إن الله حرم عليكم عقوق الأمهات، ووأد البنات، ومنع وهات، وكره لكم قيل وقال، وكثرة السؤال، وإضاعة المال
    মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন মায়ের নাফরমানী, কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া, কারো প্রাপ্য না দেয়া এবং অন্যায়ভাবে কিছু নেয়া আর অপছন্দ করেছেন অনর্থক বাক্য ব্যয়, অতিরিক্ত প্রশ্ন করা, আর মাল বিনষ্ট করা।
      সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৪০৮
    حدثني عبيد بن إسماعيل، حدثنا أبو أسامة، عن هشام، عن أبيه، عن سعيد بن زيد بن عمرو بن نفيل، أنه خاصمته أروى في حق زعمت أنه انتقصه لها إلى مروان، فقال سعيد أنا أنتقص من حقها شيئا، أشهد لسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ من أخذ شبرا من الأرض ظلما، فإنه يطوقه يوم القيامة من سبع أرضين ‏"‏‏.‏ قال ابن أبي الزناد عن هشام عن أبيه قال قال لي سعيد بن زيد دخلت على النبي صلى الله عليه وسلم‏.‏

    সা’ঈদ ইব্‌নু যায়িদ ইবনে ‘আম্‌র ইবনে নুফাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    আরওয়া’ নামক এক মহিলা এক সাহাবীর বিরুদ্ধে মারওয়ানের নিকট তার ঐ পাওনার ব্যাপারে মামলা দায়ের করল, যা তার ধারণায় তিনি নষ্ট করেছেন। ব্যাপার শুনে সা’ঈদ (রাঃ) বললেন, আমি কি তার সামান্য হকও নষ্ট করতে পারি? আমি তো সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি যুল্‌ম করে অন্যের এক বিঘত যমীনও আত্মসাৎ করে, কেয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের শিকল তার গলায় পরিয়ে দেয়া হবে। ইব্‌নু আবিয যিনাদ (রহঃ) হিশাম (রহঃ) থেকে, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, তিনি (হিশামের পিতা ‘উরওয়াহ) (রাঃ) বলেন, সা’ঈদ ইব্‌নু যায়দ (রাঃ) আমাকে বলেছেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম (তখন তিনি এ হাদীস বর্ণনা করেন)।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩১৯৮
    حدثني زهير بن حرب، حدثنا هاشم بن القاسم، حدثنا عكرمة بن عمار، قال حدثني سماك الحنفي أبو زميل، قال حدثني عبد الله بن عباس، قال حدثني عمر بن الخطاب، قال لما كان يوم خيبر أقبل نفر من صحابة النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا فلان شهيد فلان شهيد حتى مروا على رجل فقالوا فلان شهيد ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ كلا إني رأيته في النار في بردة غلها أو عباءة ‏"‏ ‏.‏ ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يا ابن الخطاب اذهب فناد في الناس إنه لا يدخل الجنة إلا المؤمنون ‏"‏ ‏.‏ قال فخرجت فناديت ‏"‏ ألا إنه لا يدخل الجنة إلا المؤمنون ‏"‏ ‏.‏

    ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেন, খাইবারে অমুক অমুক শাহীদ হয়েছেন। অবশেষে এক ব্যক্তি প্রসঙ্গে তাঁরা বললেন যে, সেও শাহীদ হয়েছে। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কখনই না। গনীমাতের মাল থেকে চাদর আত্মসাৎ করার কারণে আমি তাকে জাহান্নামে দেখেছি। তারপর রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে খাত্তাবের পুত্র! যাও লোকেদের মাঝে ঘোষণা করে দাও যে, ‘জান্নাতে কেবলমাত্র প্রকৃত মু’মিন ব্যক্তিরাই প্রবেশ করবে’। ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেন, তারপর আমি বের হলাম এবং ঘোষণা করে দিলাম, “সাবধান! শুধুমাত্র প্রকৃত মু’মিনরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (ই.ফা. ২১০; ই.সে. ২১৭)
    সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২০৯
    الحميدي حدثنا سفيان حدثنا عبد الملك بن أعين وجامع بن أبي راشد عن أبي وائل عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من اقتطع مال امرئ مسلم بيمين كاذبة لقي الله وهو عليه غضبان قال عبد الله ثم قرأ رسول الله صلى الله عليه وسلم مصداقه من كتاب الله جل ذكره {إن الذين يشترون بعهد الله وأيمانهم ثمنا قليلا أولئك لا خلاق لهم في الآخرة ولا يكلمهم الله} الآية

    আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক মিথ্যা শপথ করে কোন মুসলিমের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, সে ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌র সঙ্গে মিলিত হবে এমন অবস্থায় যে, তিনি তার ওপর রাগান্বিত থাকবেন। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কথার সত্যায়নে আল্লাহ্‌র কিতাবের আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ “নিশ্চয় যারা আল্লাহ্‌র সাথে কৃত অঙ্গীকার এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে, এরা আখিরাতের নি’আমাতের কোন অংশই পাবে না এবং আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না.....” (সূরাহ আলে  ‘ইমরান ৩/৭৭)। [২৩৫৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৩৭)
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭৪৪৫
    محمد بن كثير عن سفيان عن هشام عن عروة عن زينب بنت أم سلمة عن أم سلمة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال إنما أنا بشر وإنكم تختصمون إلي ولعل بعضكم أن يكون ألحن بحجته من بعض وأقضي له على نحو ما أسمع فمن قضيت له من حق أخيه شيئا فلا يأخذ فإنما أقطع له قطعة من النار

    উম্মু সালামা (রাঃ) সূ্ত্রে নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেছেনঃ আমি তো একজন মানুষ। আর তোমরা আমার কাছে বিবাদ মীমাংসার জন্য এসে থাক। তোমাদের এক পক্ষ অন্য পক্ষ অপেক্ষা দলীল-প্রমাণ পেশ করার ক্ষেত্রে বেশি পারদর্শী হতে পারে। ফলে আমি আমার শোনার কারণে যদি কাউকে তার অন্য ভাইয়ের হক দিয়ে দেই, তাহলে যেন সে তা গ্রহণ না করে। কেননা, আমি তার জন্য জাহান্নামের একটা অংশই পৃথক করে দিচ্ছি। [১৪১](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৯৬)
    [১৪১] চাপার জোরে বিচারককে ঠকিয়ে জেনে শুনে অন্যের মাল আত্মসাৎ করা জাহান্নামের টুকরা ভক্ষণ করা।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৯৬৭
    حدثنا عبدان، عن أبي حمزة، عن الأعمش، عن شقيق، عن عبد الله ـ رضى الله عنه ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ من حلف على يمين يقتطع بها مال امرئ، هو عليها فاجر، لقي الله وهو عليه غضبان‏"‏ فأنزل الله تعالى ‏{‏إن الذين يشترون بعهد الله وأيمانهم ثمنا قليلا‏}‏ الآية‏.‏ فجاء الأشعث فقال ما حدثكم أبو عبد الرحمن، في أنزلت هذه الآية، كانت لي بئر في أرض ابن عم لي فقال لي ‏"‏ شهودك ‏"‏‏.‏ قلت ما لي شهود‏.‏ قال ‏"‏ فيمينه ‏"‏‏.‏ قلت يا رسول الله إذا يحلف‏.‏ فذكر النبي صلى الله عليه وسلم هذا الحديث، فأنزل الله ذلك تصديقا له‏.‏

    ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানদের অর্থ সম্পদ (যা তার জিম্মায় আছে) আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কসম খায়, সে আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় মিলিত হবে যে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট থাকবেন। এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেনঃ “যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে ---এর শেষ পর্যন্ত”- (আল ‘ইমরানঃ ৭৭)। এরপর আশ’আস (রাঃ) এসে বলেন, আবূ ‘আবদুর রহমান (রাঃ) তোমার  নিকট যে হাদীস বর্ণনা করছিলেন (সে হাদীসে বর্ণিত) এ আয়াতটি তো আমার সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। আমার চাচাতো ভাইয়ের জায়গায় আমার একটি কূপ ছিল। (এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বিবাদ হওয়ায়) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন, তোমার সাক্ষী পেশ কর। আমি বললাম, আমার সাক্ষী নেই। তিনি বললেন, তাহলে তাকে কসম খেতে হবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! সে তো কসম করবে। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ হাদীস বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ তা’আলা তাকে সত্যায়িত করে এই আয়াতটি অবতীর্ণ করেন।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৩৫৬, ২৪১৬, ২৫১৫, ২৬৬৬, ২৬৬৯, ২৬৭৩, ২৬৭৬, ৪৫৪৯, ৬৬৫৯, ৬৬৭৬, ৭১৮৩, ৭৪৪৫, ২৩৫৩, ২৪১৭, ২৫১৬, ২৬৬৭, ২৬৭০, ২৬৭৭, ৪৫৫০, ৬৬৬০, ৬৬৭৭, ৭১৮৪, মুসলিম ১/৬১, হাঃ ১৩৮, আহমাদ ৩৫৭৬) (আ.প্র. ২১৮৫, ই.ফা. ২২০২)
    حدثنا أبو نعيم، حدثنا زكرياء، عن عامر، قال سمعت النعمان بن بشير، يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ الحلال بين والحرام بين، وبينهما مشبهات لا يعلمها كثير من الناس، فمن اتقى المشبهات استبرأ لدينه وعرضه، ومن وقع في الشبهات كراع يرعى حول الحمى، يوشك أن يواقعه‏.‏ ألا وإن لكل ملك حمى، ألا إن حمى الله في أرضه محارمه، ألا وإن في الجسد مضغة إذا صلحت صلح الجسد كله، وإذا فسدت فسد الجسد كله‏.‏ ألا وهي القلب ‏"‏‏

    নু‘মান ইব্‌নু বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, ‘হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দেহজনক বিষয়- যা অনেকেই জানে না। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয় হতে বেঁচে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে। আর যে সন্দেহজনক বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তার উদাহরণ সে রাখালের ন্যায়, যে তার পশু বাদশাহ্‌ সংরক্ষিত চারণভূমির আশেপাশে চরায়, অচিরেই সেগুলোর সেখানে ঢুকে পড়ার আশংকা রয়েছে। জেনে রাখ যে, প্রত্যেক বাদশাহ্‌রই একটি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। আরো জেনে রাখ যে, আল্লাহর যমীনে তাঁর সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর নিষিদ্ধ কাজসমূহ। জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সে গোশতের টুকরোটি হল ক্বলব (অন্তর)।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫২, ২০৫১; মুসলিম ২২/২০ হাঃ ১৫৯৯, আহমাদ ১৮৩৯৬, ১৮৪০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫০,ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৫০)
    আত্মসাৎ করার ভয়াবহতা,
    আত্মসাৎ করা,